সকলকে দীপাবলীর অগ্রীম শুভেচ্ছা। আশা
করি সবাই উৎসবটি উপভোগ করবেন প্রতিবারের ন্যায়। তবে একটি অনুরোধ কেউ ধর্মের নামে
পশু হত্যাকে সমর্থন করবেন না। এটি সম্পূর্ণরুপে অধর্ম চর্চা কারন ঈশ্বর কখনও ঘুষ
খান না। তবে মাংস খাওয়ার জন্য পশু (পাঁঠা) হত্যা করাটা অযৌক্তিক নয়। তবে সেটা যেন
ধর্মের নামে উল্লাসের সহিত না হয়। আমরা ধর্মের উপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়া সকল
অসঙ্গতি (সতীদাহ প্রথার মত) দূর করে একটি পরিশিলিত মানবিক ধর্ম চর্চার মাধ্যমে
হিন্দু ধর্মের প্রকৃত তাৎপর্যতা সকল সম্প্রদায়ের সামনে উত্থাপন করে সামনের দিকে
বীর দর্পে এগিয়ে যাব। ওহ! আর একটি কথা উৎসবকে ভিন্ন মাত্রা দিতে বাঁজি ফুটাবেন
সমস্যা নেই তবে সে ক্ষেত্রে যথাসম্ভব সতর্কতা অবলম্বন করতে অবশ্যই ভূলবেন না।
আমি মুক্ত বুদ্ধির চেতনা,দেবাংশ,রৌদ্রের উজ্বলতা। খড়গ হাতে প্রস্তুত আমি,দেখবে পৃথিবী আজ তাণ্ডবলীলা।
Total Pageviews
Tuesday, October 25, 2016
Monday, October 17, 2016
নারীর অশ্লীল পোশাক কতটা তাৎপর্যময়?
![]() |
চিত্র: নারী পুরুষের দৈহিক মিলন। |
আজকাল অধিকাংশ মেয়েদের ক্ষেত্রে আমি একটা বিষয় প্রায় লক্ষ্য করি, সেটা হল বিয়ের পরও শাড়ি না পড়ার প্রবনতা। আর শাড়ি যদিও বা একদিন পরে তো নিজেকে ভিন্ন রকমভাবে উপস্থাপন করার নিমিত্তে। আসলে এটা কেন করা হচ্ছে? এর প্রধান কারন নিজেকে আরেকটু আবেদনময়ী করে জনসমক্ষে উপস্থাপন করার একধরনের লালায়িত প্রচেষ্টা মাত্র। আমরা সবাই জানি যে বিয়ের পরই কেবল মেয়েরা এক একটি বড় সড় যৌন উত্তেজক বিষ্ফোরকে পরিনত হয়। এসময় প্রতিনিয়ত যৌন মিলনের ফলে প্রত্যেক নারীর মধ্যে একটা ভিন্ন রকম সজীবতা পরিলক্ষিত হয়। তীব্র লেহন এবং পেষনের ফলে নারীর বিশেষ অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গুলো অতিশয় সক্রিয় হয়ে উঠে যা পুরুষের কামউদ্দীপক বস্তুতে পরিনত হয়। আর পুরুষদেরকে সেগুলো দেখিয়েও একশ্রেনীর মহিলারা ভিন্ন রকম আনন্দও পায় বটে। এটা অবশ্য দোষের কিছু নয় কারন পোষাক চয়েস মানুষের একটি স্বতন্ত্র অধিকার। এই অধিকারকে কখনই আমরা হরন করতে পারি না। যাই হোক একজন পুরুষ যদি এই বিষয়টা নিয়ে কোন প্রশ্ন তোলে তাহলে একজন নারী বলতে অবশ্যই বাধ্য হবে ’ভাই এটা আপনার সমস্যা আমার নয়’ আপনার যদি অসুবিধা হয় তাহলে চোখ বুজে থাকুন। এখন কথা হচ্ছে চোখ বুজে থাকা তো সম্ভব নয়। এটা মানুষ অবশ্যই অবলোকন করবে এবং এটা দেখে কিন্তু তিন ধরনের মানুষ তিন ধরনের অভিব্যক্তি প্রকাশ করবে। আমাদের মত যারা অবিবাহিত যুবক আছে তারা হয়তো গোপন ঘরে গিয়ে গোপন কিছু করার চেষ্টা করবে আর যারা অতি উৎসাহী তারা হয়তো ঐ মহিলাকে পকানোর চেষ্টা করবে আর সেটা করতে যদি ব্যর্থ হয় তাহলে হয় তাকে ধর্ষণ করবে নতুবা এসিড ছুড়ে নিজের কাপুরুষত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে ক্ষান্ত হবে। আর আরেক শ্রেনীর মানবতাবাদী মানুষ আছে যারা গোপন ঘরে গিয়েও সবকিছু গোপনে গোপন করে জনসমক্ষে বলবে- না না এটা সম্পর্ণরূপে মানবতা বিরোধী,নারীদের অধিকার হরন করার একটা হীন তরিক,এই ধরনের অভিব্যক্তি আমাদের অস্থিত্বের জন্য হুমকি স্বরূপ ইত্যাদি ইত্যাদি। এখন কথা হচ্ছে তাহলে মেয়েরা কি কাল কাপড়ের কন্ডম পরিধান করে থাকবে? না আমি আপাদ মস্তক কাল কাপড়ের কন্ডম পরিধান করার কথা অবশ্যই বলব না; তবে আপনাকে একটা কথা মনে রাখতে হবে যে আপনার যৌন উত্তেজক বিষ্ফোরক রক্ষার দায়িত্ব কিন্তু প্রশাসন বা অন্য কেউ নেবে না । সেটা দেখানোর দায়িত্ব যেমন আপনার, তেমনি রক্ষা করার দায়িত্বও কিন্তু আপনার উপরই বর্তাবে। তাই বলব নিজেকে মার্জিতভাবে উপস্থাপন করুন, নিজে সুন্দর থাকুন পাশাপাশি অন্যকেও সুন্দর থাকতে উৎসাহিত করুন। এতে সকলের মঙ্গল হবে।
Saturday, October 1, 2016
মুসলিম বিশ্বের হুমকি আসলে কে?
![]() |
চিত্রঃ ডোনাল্ড ট্রাম্প ও হিলারি ক্লিনটন মুখোমুখি। |
মুসলিম বিশ্বের জন্য হুমকি আসলে ডোনাল্ট ট্রাম্প নাকি হিলারি ক্লিনটন? সম্প্রতি ট্রাম্প এক সমাবেশে আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক জঙ্গী সংগঠন আই এস এর প্রতিষ্ঠাতা এবং হিলারি ক্লিনটনকে এর সহপ্রতিষ্ঠাতা বলে যে অভিযোগ তুলেছেন তা বিতর্কিত হলেও একেবারে ভিত্তিহীন বলে কিন্তু আমার মনে হচ্ছে না। তারা আই এস এর প্রতিষ্ঠাতা না হলেও আই এস এর জন্ম দেওয়ার পেছনে এই দুজনের কিছুটা হলেও ভূমিকা রয়েছে বলে মনে হয় কারন উইকিলিকস্ অতি সম্প্রতি যে নথি প্রকাশ করেছে তাতে আই এস এর কাছে হিলারি ক্লিনটনের অস্ত্র বিক্রির স্পষ্ট প্রমান মিলেছে। সুতরাং এতে বোঝা যায় যে এরা যুগ যুগ ধরে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর লালন করছে শুধুমাত্র এদের স্বীয় স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য। ডোনাল্ট ট্রাম্প একজন ব্যাবসায়ী মানুষ। রাজনীতির মাঠ সম্পর্কে সে তেমন অবগত নয় তাই তাদের(আমেরিকার) এই সহজ রাজনীতি সে বুঝতে পারছে না বলেই হয়তো তারা তাকে(ট্রাম্পকে) সমর্থন করতে পারছে না। কারন এরা হয়তো ভাবছে- যে ব্যক্তি এই রকম একটি সামান্য রাজনীতি সম্পর্কে অবগত নয় সে কিভাবে সমগ্র পৃথিবীর নেতৃত্বে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে? সুতরাং এটা বলা বাহুল্য নয় যে ট্রাম্প যদি বুনো ওল হয় তাহলে হিলারি হচ্ছে বাঘা তেঁতুল! একারনে আমি ব্যক্তিগতভাবে হিলারিকে সমর্থন করব না কারন সে হচ্ছে Co অর্থাৎ Carbon monoxaide এর মত নিরব ঘাতক।
Subscribe to:
Posts (Atom)