![]() |
চিত্রঃ ওঁ বা ওঁ-কার বা প্রনব বা ত্র্যক্ষর যা হিন্দু ধর্মের পবিত্রতম প্রতীক। |
হিন্দুরা বিশ্বাস করে ঈশ্বর সাকার আবার নিরাকার,তাই হিন্দুরা ঈশ্বরকে পাওয়ার জন্য বা তার কৃপা লাভের জন্য দুটি উপায় অবলম্বন করে আরাধনা করে থাকে। এক হচ্ছে ঈশ্বরের সাকার রূপ, আরেকটি হচ্ছে ঈশ্বর নিরাকার যার লেখ্য রূপ ”ওঁ”হিসেবে বিবেচ্য। এই ”ওঁ”(সংস্কৃত.অ+উ+ম) হচ্ছে হিন্দুদের মূল প্রতিকৃতি,কারন হিন্দুরা বিশ্বাস করে যে,”ওঁ”এর মধ্যেই পৃথিবীর সৃষ্টি, স্থীতি, বিনাশ সকল কিছুই নিহীত। যদি তাই হয় তাহলে ”ওঁ” এর মধ্যে মহাবিশ্বের সকল শক্তিই বিদ্যমান যেটাকে আমরা ঈশ্বর বলি। এই ”ওঁ” বা ঈশ্বর হচ্ছে নিরাকার কিন্তু আমরা যখন ঈশ্বরকে সাকার রূপে আরাধনা করি তখন ”ওঁ” এর মধ্যে যে শক্তিগুলো আছে সেই শক্তিগুলোকে আলাদা আলাদা করে ফেলি। যেমন আমরা যখন শিবের উপাসনা করি তখন বলি, ওঁ নমঃ শিবায় আবার যখন বিষ্ণুর উপাসনা করি তখন বলি ওঁ শ্রীবিষ্ণু আর্থাৎ শিব বা ব্ষ্ণিু হচ্ছে ঈশ্বরের এক একটি পৃথক অংশ, যাদের উপাসনা করলে পৃথক পৃথক ফল লাভ করা সম্ভব। একারনে শিব বা বিষ্ণুর নামের আগে ”ওঁ” শব্দটি যুক্ত করা হয়েছে। এরূপ হওয়ার কারন হচ্ছে আমরা যখন ঈশ্বরকে সাকাররূপে আরাধনা করব তখন তার একটা ছবি বা প্রতিকৃতির প্রয়োজন হয়,যেটাকে অবলম্বন করে আমরা পরমাত্মার সাথে যোগসূত্র স্থাপন করার চেষ্টা করি। যেকোন দেবতার নামের আগে ”ওঁ” কথাটি যুক্ত করার অর্থ হচ্ছে ঐ সকল দেবতার উৎপত্তির উৎস হচ্ছে ”ওঁ”। যেমন, ওঁ নমঃ শিবায় বা ওঁ শ্রীবিষ্ণু কথাটি বলার কারন হচ্ছে ”ওঁ” থেকে শিব আসছে আবার ঐ ”ওঁ” থেকেই বিষ্ণু আবির্ভূত হচ্ছেন অর্থাৎ ঐ নিরাকার শক্তি হতেই সকল কিছুর আবির্ভাব হচ্ছে। তার মানে এটাই বোঝায় যে আমরা যে যারই উপসনা করছি না কেন বুঝতে হবে যে, আমরা সেই স্বয়ং ভগবান বা ওঁ বা ঈশ্বরেরই উপাসনা করছি।
#লিখেছেন~পবিত্র ঘোষ।
bah khub valo jinis janlam valo laglo
ReplyDelete