![]() |
চিত্রঃ হাস্যোজ্বল ডোনাল্ট ট্রাম্প। |
আমি
কোন রাজনীতিবিদ নয় অথবা রাজনৈতিক বিশ্লেষকও নয়। তবে প্রথম থেকেই আমি বলে আসছি
মার্কিন নির্বাচনে ডোনাল্ট ট্রাম্পই এগিয়ে থাকবেন আর বাস্তবে সেটাই হতে চলেছে। এটা
বোঝার জন্য কোন জরিপ টরিপ এর প্রয়োজন হয় না ঘটে একটু থাকলেই হয়। ডোনাল্ট ট্রাম্পের
এগিয়ে থাকার কয়েকটি কারন আমি নিচে উল্লেখ করছি।
১.তিনি
একজন টিভি উপস্হাপক এবং সফল ব্যাবসায়ী একারনে তিনি ভালভাবেই জানেন কি বললে বা করলে
আমেরিকানদের সেন্টিমেন্ট গ্রো করবে।
২.তিনি
কট্টর এবং নিজের বক্তব্যের উপর যথেষ্ট আস্থাশীল ও স্পষ্টভাষী বক্তা যেটা
আমেরিকানরা খুব পছন্দ করে।
৩.আমেরিকান
নাগরিকদের কাছে প্রথম প্রাধান্যের বিষয় হচ্ছে তাদের সিকিউরিটি যেটা ট্রাম্পই
তাদেরকে দিতে পারবে বলে তাদের ধারনা কারন হিলারি নিজের ই-মেইলের সিকিউরিটি পর্যন্ত
রাখতে পারেন না, তিনি সমগ্র আমেরিকানদের সিকিউরিটি কিভাবে দিবেন?
৪.আমেরিকাকে
বলা হয় ফ্রি সেক্স এর দেশ। সেখানে ট্রাম্পের সামান্য যৌন বিষয়ক ব্যাপার নিয়ে
জলঘোলা করায় একশ্রেনীর মানুষ ব্যাপক বিব্রত হয়েছে। এতে ট্রাম্পের ক্ষতির চেয়ে
বরঞ্চ লাভই হয়েছে বলে আমার ধারনা।
৫.এছাড়া
ট্রাম্পের সাবেক স্ত্রী ও প্রেমিকারা সবাই একযোগে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারনায়
অংশ নেওয়ায় আমেরিকার একশ্রেনীর শ্বেতকায় নারীদের কাছে তার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে
এবং তারা তাকে একজন দক্ষ ও সফল স্বামী ও রোমান্টিক প্রেমিক হিসেবে দেখছে।
৬.বিশ্বের
অধিকাংশ মিডিয়াগুলো তাঁর বিপক্ষে অবস্হান নেওয়ায় আমেরিকার মধ্যবিত্ত ও খেঁটে খাওয়া
মানুষের কাছে তিনি সহানুভূতির পাত্র হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন যেকারনে তাদের সমর্থন
আদায়ে তিনি সক্ষম হয়েছেন।
৭.জঙ্গীদের
ব্যাপারে হিলারির বক্তব্য সুস্পষ্ট নয় কিন্তু ট্রাম্প বলেছেন রাশিয়ার সাথে একযোগে
কাজ করে জঙ্গী দ্রুত নির্মুল করতে হবে যেটা একশ্রেনীর মানুষ জোরালো সমর্থন করেছেন।
৮.আর
আমেরিকানরা মহিলা প্রেসিডেন্ট পছন্দ করে না সেটা তো আছেই। এখানে উল্লেখ্য ২৪০
বছরের ইতিহাসে আমেরিকায়
কোন
মহিলা প্রেসিডেন্ট হতে পারে নি।
No comments:
Post a Comment