Total Pageviews

Tuesday, March 28, 2017

ধর্ম কখনও বিভক্তি সৃষ্টির জন্য নয়। জাগতিক কল্যাণ বা মঙ্গলের জন্য।

চিত্রঃ নোংরা দশবিধ সংষ্কার

বেদ হিন্দুদের মূল ধর্মগ্রন্থ। হিন্দুদের সব যায়গায় তো আঘাত করা হয়েছে। তো এই মূলেও বা আঘাত করা হয়নি সেটারও বা নিশ্চয়তা কি? আমার মনে হয় একশ্রেণীর স্বার্থান্বেষী মহল এটাকেও বিকৃত করার চেষ্টা করেছে। এখানেও মনে হয় অবান্তর কিছু ঢোঁকানো হয়েছে নিজেদের স্বীয় স্বার্থ উদ্ধারের নিমিত্তে। এই যে বেদে দশবিধ সংষ্কারের কথা বলা হয়েছে এটাকে তো আমি সাপোর্ট করতে পারছি না। উপনয়ন নেওয়ার জন্য নাকি শাস্ত্রে ব্রাম্মণ,ক্ষত্রিয়,বৈশ্যদের ক্ষেত্রে যথাক্রমে সাত,তের ও সতের বছর বয়সের বিধান রাখা হয়েছে। সত্যিই হাস্যকর। আমার মস্তিষ্ক এতটা এখনও বিকৃত হয়নি যে এটাকে আমি মেনে নেব। এটা যদি আমার প্লাটফর্মের কেউ কঠোরভাবে মানার চেষ্টা করে বা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে তাহলে আমি স্পষ্টভাষায় বলতে চাই এর বিপক্ষে আমার অবস্খান কঠোর হবে। হিন্দুদের জন্য কাজ করছেন ভাল কথা কিন্তু আবল তাবল নিয়ে বেশি চর্চা করলে হিন্দুদের আছোলা বাঁশ দিতে আমিও কিন্তু দ্বিতীয়বার ভাবব না। কাজ করতে হবে জাগতিক কল্যাণ বা মঙ্গলের জন্য, গোড়ামী সৃৃষ্টির জন্য নয়।
#‌লি‌খে‌ছেন~প‌বিত্র ঘোষ।

Tuesday, March 21, 2017

প্রত্যেক মন্দিরে বা গৃহে চক্রধারী শ্রীকৃষ্ণের একক বিগ্রহ স্থাপন করুন।

চিত্রঃ চক্রধারী শ্রীকৃষ্ণ

শ্রীকৃষ্ণকে বলা হয় মানবশ্রেষ্ঠ অবতার। তাঁর সৃষ্টকর্ম ও অমর বাণী সম্পর্কে আমরা সকলে জ্ঞাত হলেও বড়ু হারামীর মধ্যযুগীয় অশালীন কাটিল্য থেকে আমরা কিছুতেই বেরিয়ে আসতে পারছি না। শ্রীকৃষ্ণকীর্তণ কাব্যনাট্যের রাধা নামক কীঁট আমাদের হিন্দু জাতির মান সম্মান ধূলিস্যাৎ করে দিচ্ছে আর আমরা সেটা যুগ যুগ ধরে মুখ বুজে হজম করে যাচ্ছি। এতটাই হীন নপুংশক জাতি আমরা। আমাদের এই নপুংশতা আর কত দিন চলবে? আমরা এই নপুংশতা থেকে বেরিয়ে কবে বিদ্রোহী সজাতপুষ্ট জ্ঞানবান পুরুষ হব? আমি সকলের জ্ঞাতার্থে একটি প্রশ্ন ছুড়ে দিতে চাই সেটি হল- আপনি কি সমর্থন করেন মামীর সাথে ভাগ্নের প্রেমের সম্পর্ক বা শারীরীক সম্পর্কের মত হীনতা? যদি না করেন তাহলে রাধা-কৃষ্ণের এই তথাকথিত প্রেমলীলাকেও আপনি সমর্থন করবেন না। একজন সাধারন মানুষের মস্তিষ্ক যেখানে বলছে এটা সম্পূর্ণরুপে অশালীন ও অনৈতিক একটা সম্পর্ক, সেখানে একজন অবতার/ভগবান বা পরমপুরূষ সেটাকে কিভাবে গ্রহন করতে পারেন? আমার কথাগুলো যদি আপনাদের বিশ্বাস না হয় তাহলে শাস্ত্র ঘাটেন। আমি চ্যালেঞ্চ করতে পারি বেদ,উপনিষদ,শ্রীমদভগবত গীতা কোথাও এই প্রেমিকা রাধার অস্তিত্ব পাবেন না। তাই আমি সকলের কাছে কড়জোরে মিনতি করব প্রত্যেক মন্দিরে বা গৃহে চক্রধারী শ্রীকৃষ্ণের একক বিগ্রহ স্থাপন করে হিন্দু জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করতে।
#‌লি‌খে‌ছেন~প‌বিত্র ঘোষ।