সাম্প্রদায়িক শক্তি সে যে দেশেরই হোক না কেন তা সেই
দেশ এবং জাতির জন্য হুমকিস্বরূপ। গতকাল এক ভারতীয় সুন্দরী তরুনীর সাথে বেশ কিছু সময়
বাংলাদেশ বিষয়ক কিছু প্রসঙ্গ নিয়ে তর্ক হলো। দেখলাম সেখানে সে বাংলাদেশকে একটা নিকৃষ্ট
দেশ হিসেবে উপস্থাপন করার অপচেষ্টা চালাল। সে এটা বলল যে বাংলাদেশ একটি চরম সাম্প্রদায়িক
এবং কাঙ্গাল দেশ। গুগলে কাঙ্গাল দেশ লিখে সার্চ দিলে নাকি বাংলাদেশের নাম সবার উপরে
পাওয়া যাবে। আমিও যথারীতি সার্চ দিয়ে দেখলাম কিন্তু কোথাও বাংলাদেশের নাম তো পেলাম
না। সে বাংলাদেশের শিক্ষার মান নিয়েও যাচ্ছেতাই প্রশ্ন তুলল। আমি বুঝলাম না সে ভারতে
বসে কিভাবে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে এহেন কুরূচিপূর্ণ মন্তব্য করতে পারে। যা
হোক পরে জানতে পারলাম তাঁর পূর্বপুরুষরাও নাকি ঐ সব দেশত্যাগী কাপুরুষদের একজন ছিল।
সে মুসলিমদেরকে ইচ্ছামত ধবল ধোলায় করল এবং ইসলাম ধর্ম নিয়েও নানা প্রশ্ন তুলল। আমি
তাকে নিয়ন্ত্রন করার চেষ্টা করলাম কিন্তু তাতেও কোন কাজ হলো না। উল্টো আমাকেও গরু
ছাগল বলে গালাগালি করতে লাগল। এই হচ্ছে অবস্থা। এর জন্য দায়ী আসলে কারা? এর পুরো দায়
এদেশের সাম্প্রদায়িক শক্তির উপর বর্তায়, কারন এদের অত্যাচরের কারনেই একসময় এরা দেশ
ত্যাগ করেছিল এবং এখন ঐ দেশে গিয়ে সে দেশের মুসলিমদের তারা ধবল ধোঁলায় করছে। তাই বলব
যুদ্ধ বা জিহাদ নয়,শান্তিই মুক্তির একমাত্র মোক্ষম উপায়।
আমি মুক্ত বুদ্ধির চেতনা,দেবাংশ,রৌদ্রের উজ্বলতা। খড়গ হাতে প্রস্তুত আমি,দেখবে পৃথিবী আজ তাণ্ডবলীলা।
Total Pageviews
Thursday, June 30, 2016
Saturday, June 18, 2016
এটাই কি আমাদের স্বাধীনতা?
হায়রে স্বাধীন বাংলাদেশ! এই তোর স্বাধীনতার নমুনা?
যে দেশে আজও সাম্প্রদায়িক নির্যাতন,
যে দেশে আজও বারংবার সংখ্যালঘুরা অত্যাচারিত,সে দেশে স্বাধীনতা শব্দটা কি মানায়? শুধু সাম্প্রদায়িক অত্যাচারই নয়, এদেশে সংখ্যাগুরু সম্প্রদয়ের লোক যেমন পুলিশ
সুপারের স্ত্রী,মাদ্রাসা পড়ুয়া মেয়েকেও ধর্ষণ করা হয়। পুরোহিত হত্যা করা হয়,মুয়াজ্বিনকেও
ছাড় দেওয়া হয় না, লেখক, ব্লগার, প্রকাশক, মানবাধিকার কর্মী বুদ্ধিজীবী,শ্রমজীবী মানুষদেরকে নির্বিচারে কুপিয়ে
হত্যা করা হয় কিন্তু কোন বিচার হয়না, কোন দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি হয়না অপরাধিদের।
ধিক্কার জানায় এমন স্বাধীনতাকে, ধিক্কার জানাই এদেশের আইন ও প্রচলিত শাসন ব্যাবস্থাকে।
এমন দেশ তো আমরা চায়নি। যেদেশে মানুষ বড়,মানবিকতা শীর্ষে এমন একটি সুখী সমৃদ্ধ দেশ
আমরা চেয়েছিলাম কিন্তু একি হল।
Wednesday, June 15, 2016
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে একজন সংখ্যালঘুর আবেদন।
বরাবর,
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
বিষয়:
সংখ্যালঘু নিধন বন্ধকল্পে আপনার টনক নড়িবার নিমিত্তে।
জনাব,
বিনীত
নিবেদন এই যে আমি এদেশের একজন গরীব সংখ্যালঘু। এদেশে এখন আমার জীবনের নিরাপত্তা
খুবই ক্ষিন। আগে ভাবিতাম এদেশ আমার। এদেশের মাটি, ফুল, ফল আমার কিন্তু অক্ষির
সমীপে প্রতিনিয়ত যাহা হইতেছে তাহা দেখিয়া মুখে কুলুপ আঁটিয়া রাখাটা নিজের সাথে
ভন্ডামী ছাড়া কিছুই মনে করিতেছি না। কারন এভাবে হতাশ হইয়াই তো যুগ যুগ ধরিয়া
এদেশের সংখ্যালঘুরা মুখ বুজিয়া নিজেদের স্বীয় সম্মান রক্ষার্থে শিকড় ছাড়িয়া পরের
দেশে পাড়ি জমায়তেছেন প্রতিনিয়ত। হায়রে দেশ, হায়রে আমার স্বাধীনতা। একারনেই তো মাঝে
মাঝে বলিতে ইচ্ছে হয় কেন ভারতে জন্ম হইল না,তাহা হইলেও তো বলিতে পারিতাম এই আমার
দেশ,এই আমার মাতা,মাটি,আমার ভাললাগা,আমার ভালবাসা। কিন্তু জোর করে তো আর শিকড়কে অস্বীকার
করা যায় না।যাহারা উদ্বাস্তু হইয়া ভারতে আছেন তাহারা আজও তাহাদের বাড়ির আঙিনার
আঁতা গাছের কথা বলিয়া নেত্র লোচনে বুক ভাসান। তাহা হইলে তাহারা কি ভাল আছেন বলিয়া
আপনাদিগের মনে হয়? না তাহারা ভাল নেই কারন উদ্বাস্তু জীবন কাহারও কাম্য নয়। ইহার
জন্য দায়ী কাহারা? এই সকল দায় সম্পূর্রূপে ক্ষমতাসীন দলের উপর বর্তায় বৈকি। আপনারা
কোনভাবেই এইটাকে এড়াইতে পারেন না। কারন আপনারা আমাদিগের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ
হইতেছেন। ইহার আগে এহেন গুপ্ত হত্যা এবং গনহারে দেশ ত্যাগ জামাত বিনপির আমলেও
কিন্তু হয় নাই। দয়া করিয়া এইটা একটু মাথায় রাখিবেন। তাই এই ব্যাপারে অবিলম্বে
আপনার ভ্রূক্ষেপ কামনা করিতেছি। স্বাধুভাষায় লিখিলাম যাহাতে আপনি জটিলভাবে ইহা
উপলব্ধি করিতে পারেন।
বিনীত
নিবেদক
সংখ্যালঘু
বালেস্বর রায়
Subscribe to:
Posts (Atom)