Total Pageviews

Tuesday, September 20, 2016

পশু হত্যা করে স্রষ্টাকে সন্তুষ্ট করা অসম্ভব।

পশু হত্যা করে স্রষ্টাকে সন্তুষ্ট করা যায় কি? আমাদের ধর্মেই তো আছে জীব হত্যা মহাপাপ আবার ‘মা‘ কালিকে সন্তুষ্ট করতে আমরাই নির্বিঘ্নে পাঠা বলি দিচ্ছি। আবার সেই পাঠার মাংস নিয়ে চলে মারামারি। এটা সম্পূর্ণরূপে অনধিকার চর্চা নয় কি? আসুন আমরা একবার আমাদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন করে দেখি যা আমরা সৃষ্টি করতে পারি না তা কিভাবে আমরা কেড়ে নিতে পারি তাও আবার তারই সৃষ্ট জীব? এটা আসলে কোন ধর্মই নয়। সৃষ্টিকর্তাকে সন্তুষ্ট করতে তারই সৃষ্টজীবকে হত্যা করাটা সম্পূর্ণরূপে অমানবিক এবং অধর্ম চর্চা বলে আমি মনে করি। আরে ধর্ম তো জাগতিক কল্যাণের জন্যই আর জাগতিক কল্যাণ মানে শুধু মানুষের কল্যাণ নয়; জাগতিক কল্যাণ মানে সকল জীব অর্থাৎ সমগ্র পৃথিবীর কল্যাণ। তবে হ্যাঁ মাংস খাওয়ার জন্য পশু হত্যা করা সেটা ঠিক আছে কারন মাংস আমিও খাই আপনি, আপনারা সবাই খান তবে তার জন্য নির্দিষ্ট যায়গা আছে যেটাকে বলে কসাইখানা। কিন্তু ধর্মের উদ্দেশ্যে উল্লাসের সহিত পশু হত্যা করাটা সম্পূর্ণ অধর্ম নয় কি? আমি কিন্তু এটা নিঃসন্ধেহে বলতে পারি যে,আমাদের ধর্ম গ্রন্থে এরকম কিছুই নেই। এটা আসলে সম্পূর্ণরূপে স্বতীদাহ প্রথার মত মানুষ্য সৃষ্ট অসুস্থ একটি প্রথা, একটি সামাজিক ব্যাধি। সুতরাং মানুষ হিসেবে আমাদের উচিত হবে এই অসভ্য প্রথা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসা। কারন ধর্ম যখন সমাজের কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না তখন বিবেককে ধর্মের কাজে ব্যবহার করতে হয়। আমাদেরকে মনে রাখতে হবে আমাদের অবস্থান যেন মানবতার বিপক্ষে না যায়। এটি কিন্তু শধু হিন্দুদের ক্ষেত্রে নয়,মুসলিমদের ক্ষেত্রেও সমানভাবে প্রযোজ্য।

No comments:

Post a Comment