আমি খুব বেশি কিছু লিখি না কারন আমি এদেশের সুশীল সমাজের
কাছে একজন সংখ্যালঘু এবং মৌলবাদীদদের কাছে বড় সড় উৎকৃষ্ট মানের পেশীবহুল দুর্বল চিত্তের
মালু (মালাউন) ,কোনভাবেই এদেশের নাগরিক নই। আমার প্রতিবাদের ভাষা নেই,কোন মৌলিক অধিকার
নেই,আছে শুধু করুনা। হ্যাঁ সত্যিই তো আমি করুনা নির্ভর, দেশের মানুষ আমাকে করুনা করে
বলেই তো আমি আজও বেঁচে আছি,নিজের হাতে রোজগার করে দুমুঠো খেতে পারছি,এদেশের ফুল-ফল-জল-প্রকৃতির
শোভা আজও হয়তো আস্বাদন করতে পারছি। আমার কলেজের এক শ্রদ্ধেয় বড় ভাই আমাকে একদিন বলল-
"এখন তো তোদের দিন ভাই, তোরাই তো শান্তিতে আছিস,এক পা বাংলাদেশে আরেক পা ইন্ডিয়াতে,একপাশে
হাসিনা অন্যপাশে মোদি,তোদেরই তো গদি বস তোদেরই তো গদি"। কিন্তু কই এদেশে যখন সংখ্যালঘুদের
উপর নির্বিচার হামলা হয়,তাদের সম্পত্তি লুন্ঠিত হয়,মা-বোনরা ধর্ষিত হয় তখন কেউ তো তাদের
পাশে এসে দাঁড়ায় না। তাদের দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তার সু-ব্যবস্হা করে না। তখন না আসে
হাসু আপু না আসে মোদি বাবু। হয়তো সুশীল সমাজের কয়েকদিন একটু প্রতিক্রিয়া,রাজনৈতিক ব্যক্তিদের
মিডিয়ার সামনে একটু হ্যান করেঙ্গা ত্যান করেঙ্গা কিন্তু কদিন পরেই সবাই তাইরে নাইরে
না। এভাবে আর কত দিন? একসময় আমার পূর্বপুরুষরা এদেশকে হায়েনার কবল থেকে রক্ষা করার
জন্য তোমাদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছিল অকাতরে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিল। তখন তোমাদের
দাবি ছিল স্বাধীন সার্বভৌম একটা মানচিত্রের কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় তোমাদের আকাঙ্খার
কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে এবং অনেক মুক্তিযোদ্ধাও হয়তো রাজাকার হয়েছে। এখন তোমরা চাইছো
এদেশ থেকে কাফের বিদায় করে একটি ইসলামিক জঙ্গী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে। আমি জানি না
সেটা পারবে কিনা কিন্তু পারলেও তোমরা কতটা সুখে থাকবে? সেটাই আমার প্রশ্ন। হয়তো পকিস্তান,আফগানিস্তান
এর মত সুখী হবে! কিন্তু আমি? আমার কি হবে? আমি তো আমার জন্মভূমিকে আমার প্রাণের চেয়েও
ভালবাসি,এদেশের মাটি,বাতাস,জল আমার খুব প্রিয়,আমি এদেশে মুক্তভাবে বাঁচতে চাই,স্বাধীনভাবে
কথা বলতে চাই। আমি তো নির্বাক গনতন্ত্র; আমাকে অধিকার দেবে কে? তাই আমার কলুষিত প্রাণের
একটাই দাবী -আমাকে অধিকার দিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী; আমাকে একজন সংখ্যালঘু নয় একজন
সাচ্চা দেশপ্রেমিক হিসেবে বাঁচার অধিকার দিন।
No comments:
Post a Comment