Total Pageviews

Monday, November 21, 2016

রোহিঙ্গা মুসলিমরা কেন মায়ানমারের নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত?

চিত্রঃ রোহিঙ্গা বিদ্বেষী বৌদ্ধ ভিক্ষু।

আজ থেকে বেশ কয়েক দশক আগে মিয়ানমার যখন স্বাধীন হয় তখন মিয়ানমার সরকার রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত মুসলিমদের নাগরিকত্ব দিতে চেয়েছিল কিন্তু রাখাইন রাজ্যটি মুসলিম অধ্যুষিত হওয়ায় তারা মিয়ানমার সরকারের এ প্রস্তাব মেনে নেয়নি, তারা চেয়েছিল পাকিস্তানের সাথে যোগ দিতে। পাকিস্তানের সাথে যোগ দেওয়ার জন্য তারা মিয়ানমার মুজাহিদ নামে একটি সংগঠন গড়ে তোলে। এসময় এরা রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত সংখ্যালঘু বৌদ্ধদের উপর অত্যাচার ও তাদের সম্পদ লুণ্ঠন করতে থাকে। বৌদ্ধ ভিক্ষুরা অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে একপর্য়ায়ে বিভিন্ন ধরনের প্রতিবাদ কর্মসূচী ও অনশনের মত কার্যক্রম শুরু করে। মিয়ানমার সরকার অবস্থা বেগতিক দেখে সেনাবাহিনী ব্যবহার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করে এবং তাতে সফলও হয়। এসময় মিয়ানমার মুজাহিদের বেশ কয়েকজন নেতা আত্মসমর্পণও করে। এভাবে বেশ কিছুদিন চলতে থাকল। অতপর বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময়ে অর্থাৎ সত্তরের দশকে এই মুজাহিদ গোষ্ঠি পুনারায় সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং এদের নেতৃত্ব দেয় পাকিস্তান মতাদর্শে বিশ্বাসী মুজাহিদ নেতা জাফর কাওয়াল। জাফর কাওয়ালের নেতৃত্বে সংগঠনটি ভালই চলছিল। কিন্তু হঠাৎ বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করায় তাদের ইচ্ছার গুড়ে বালি পড়ে। তাদের আর পাকিস্তানে যোগ দেওয়া হল না। এদিকে জাফর কাওয়ালকে মিয়ানমার সেনাবাহিনী গ্রেফতার করে ও সাধারন মানুষের উপর জুলুম ও অত্যাচার করতে থাকে; এতে যোগ দেয় রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত বৌদ্ধরা। পরবর্তীতে রোহিঙ্গারা মিয়ানমার সরকারের কাছে নাগরিকত্ব চাইলে তারা তাদেরকে নাগরিকত্ব দিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং তাদের সেনা সমর্থিত শাসকরা রোহিঙ্গাদেরকে বাংলাদেশী বলে চালিয়ে দেওয়ার ঘৃন্য অপচেষ্টা চালায়। এটাই হচ্ছে মূল সমস্যা। তবে যাই হোক তারা এখন সংখ্যালঘু মানে আমাদের জ্ঞাতি ভাই। তাদের একটাই পরিচয় তারা সংখ্যালঘু মানে অত্যাচারিত সুতরাং এদের পাশে আমাদের সকলকে দাঁড়ানো উচিত। জাতিসংঘের উচিত হবে তামাক না কেঁটে কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে এই হীন ট্রাজেডির সমাধান করা; সাথে সাথে আমাদের দিকেও জাতিসংঘ একটু সুনজর দিক। সত্যি বলছি আমার ভারত ভাল লাগে না, ভাল লাগে না কলকাতার সায়েন্স সিটি বা আগ্রার তাজমহল। আমার ভাল লাগে পড়ন্ত বিকালে জীর্ন শীর্ন কপোতাক্ষের তীর ঘেঁষে হেঁটে চলতে।

No comments:

Post a Comment